থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী রাজনীতিক আনুতিন চার্নভিরাকুল।ডানপন্থী ধনকুবের ব্যবসায়ী আনুতিন দেশটির ভুমজাইথাই পার্টির নেতা। আজ ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
৫৮ বছর বয়সী অনুতিন এর আগে উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি ২০২২ সালে গাঁজা আইনসিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। পর্যটননির্ভর দেশ থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দোষারোপ করেছিলেন। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হয়।
স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের মোট আসনসংখ্যা ৪৯২।
বিজয়ের জন্য কমপক্ষে ২৪৭ জন এমপির ভোট পাওয়া জরুরি ছিল ৫৮ বছর বয়সী আনুতিনের জন্য। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আনুতিনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন এমপি। পার্লামেন্ট ভবনটি আনুতিনের পারিবারিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানই তৈরি করেছে।
২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি দেশটির সর্বোচ্চ পদগুলো দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আদালতের এক রায়ে এ পরিবারের উত্তরসূরি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়। এর ফলে সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা পূরণে সক্রিয় হয়ে উঠেন অনুতিন। তিনি বিরোধী দলগুলোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। এ সমর্থন তাঁকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সুবিধাজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে অনুতিন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র সাধারণ শত্রু হলো যিনি দেশের শত্রু। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। অনুতিন একসময় পেতংতার্নের জোটকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু এ গ্রীষ্মে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধের সময় পেতংতার্নের আচরণে আপত্তি জানিয়ে তিনি ওই সমর্থন প্রত্যাহার করেন। দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়। মূলত সীমান্ত সংঘাত মোকাবিলায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে নীতি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে এ পদ থেকে অপসারণ করা হয়।